সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলাতে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের উত্তর তেমুহনী থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা আওয়ামী লীগ। মিছিলটি লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয় নেতাকর্মীরা।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর নেতৃত্বে এতে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ, রাসেল মাহমুদ মান্না, হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী, সৈয়দ সাইফুল হাসান পলাশ, সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, জহির উদ্দিন বাবর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলালসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসী দল। তারা জ্বালাও পোড়াও কর্মকান্ডে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বিএনপিকে কোন নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা প্রস্তুত রয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণের নিরাপত্তায় আমরা সবসময় সজাগ রয়েছি।

এই দিকে একই সময় গোডাউন রোড এলাকায় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বাসভবনের সামনে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ আয়োজন করা হয়। এসময় সমাবেশ স্থলের সামনের সড়কে বিএনপি নেতাকর্মী, পথচারী, সিএনজি যাত্রী ও মোটরসাইকেল বাহকদের তল্লাশি করতে দেখা যায় পুলিশকে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হাছিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হাফিজ উল্যা, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, হারুনুর রশিদ বেপারী, মাহবুবুর রহমান লিটন, অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, ফেরদৌস আহমেদ মানিক ও মনিরুল ইসলাম হাওলাদারসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

প্রধান অতিথি সাহাব উদ্দিন সাবু বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম মামলা দিচ্ছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে তারা অপরাজনীতির পরিকল্পনা করছে। কোনভাবেই বিএনপির আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। জনগণকে জালিম সরকারের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট হাছিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ চেয়েছিল ঢাকা বিভাগের গণ সমাবেশ বানচাল করতে। এজন্য তারা ৭ ডিসেম্বর বিএনপির ওপর হামলা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপরও প্রায় ১০ লাখ নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সমাবেশ সফল হয়েছে। কারণ বিএনপি কর্মী বান্ধব দল। আর আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর জুলুম করে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল মতিন বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ টহল ছিল। দুই দলই আলাদা কর্মসূচী করেছে